Skip to main content




























বর্তমান যোগাযোগ ব্যবস্থা আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো, স্বল্প খরচে দিন গিয়ে দিনেই ঘুরে আসুন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুসং দূর্গাপুর।

👉কিভাবে যাবেন?

ময়মনসিংহ থেকে ভোরের ট্রেন আপনাকে সকাল ৮ টায় বা সারে ৮টায় জারিয়া নিয়ে যাবে সেখান থেকে লেগুনা,সিএনজি, অটো অথবা মোটরসাইকেলে করে  দূর্গাপুরে যাবেন, আর যদি বাসে করে যান তাহলে ময়মনসিংহ ব্রিজ থেকে সুসং দূর্গাপুরের বাসে সরাসরি সুসং দূর্গাপুর চলে যেতে পারেন(ভাড়া ৮০ টাকা) তারপর নদী পার হয়ে শিবগঞ্জ বাজারে গিয়ে সিএনজি,অটো বা মোটরসাইকেলে করে আপনি বিজয়পুর যাবেন অথবা আপনি চাইলে শিবগঞ্জ থেকে অটো,সিএনজি বা মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে নিতে পারেন ওরা আপনাকে সবগুলো স্পট ঘুরে দেখাবে। 

👉কি কি দেখতে পারবেন? 

👉ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমীঃ

বিরিশিরি বাসট্যান্ডের  পাশেই অবস্থিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী  কালচারাল একাডেমী । এ অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার  নানা নিদর্শন সংরক্ষিত আছে এখানে।
দূর্গাপুর যাওয়ার আগেই বিরিশিরি নেমে এটি দেখে যেতে পারেন।

👉সোমেশ্বরী নদী 

অপরূপ সুন্দর এই নদী। নদীতে গেলেই আপনি একই সাথে দেখতে পাবেন বিশাল বালুচর, কয়লা উত্তোলন চিত্র, শতাধিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলনের দৃশ্য,  পাহাড় ইত্যাদি।
যাওয়ার পথেই অর্থাৎ যে নদীটি পার হয়ে যাবেন সেটিই সোমেশ্বরী।

👉বিজয়পুর বর্ডার এবং বিজিবি ক্যাম্প

ক্যাম্পের ভিতর দিয়ে একটি রাস্তা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট গেছে কিন্তু ওখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ  তবে বিকেলে বা বিভিন্ন সময় ট্যুর গ্রুপ গেলে রিকুয়েষ্ট করলে খুলে দেয়, জায়গাটা খুবই সুন্দর, রাস্তার দু'পাশে ভারত শুধু রাস্তাটা বাংলাদেশের, জিরো পয়েন্ট যেখানে বাংলাদেশের সীমানা শেষ তার সাথেই ইন্ডিয়ার বাঘমারা বাজার, মেঘালয় রাজ্য।ক্যাম্পের ভিতর দিয়ে একটি রাস্তা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট গেছে কিন্তু ওখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ  তবে বিকেলে বা বিভিন্ন সময় ট্যুর গ্রুপ গেলে রিকুয়েষ্ট করলে খুলে দেয়, জায়গাটা খুবই সুন্দর, রাস্তার দু'পাশে ভারত শুধু রাস্তাটা বাংলাদেশের, জিরো পয়েন্ট যেখানে বাংলাদেশের সীমানা শেষ তার সাথেই ইন্ডিয়ার বাঘমারা বাজার, মেঘালয় রাজ্য।

👉রাণীক্ষং চার্চ এবং রাণীক্ষং সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী
ক্যাম্পের পাশেই এই পল্লীটি। এটি দেখে সাদা মাটির পাহাড়ে যাবেন।
এখানে খৃষ্টান ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন উপাসনালয়, স্কুল ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস আছে।
       
👉হাজং মাতা শহীদ রাশিমনি স্মৃতিসৌধ

শিবগঞ্জ বাজার থেকে বিজয়পুর ক্যাম্প যাওয়ার পথে আবার বিজয়পুর ক্যাম্প থেকে সাদা মাটির পাহাড়ে যাওয়ার পথে  কামারখালী বাজারের পাশে  বহেরাতলীতে অবস্থিত রাশিমণি এই স্মৃতিসৌধ।শিবগঞ্জ বাজার থেকে বিজয়পুর ক্যাম্প যাওয়ার পথে আবার বিজয়পুর ক্যাম্প থেকে সাদা মাটির পাহাড়ে যাওয়ার পথে  কামারখালী বাজারের পাশে  বহেরাতলীতে অবস্থিত রাশিমণি এই স্মৃতিসৌধ।

👉সাদা মাটির পাহাড় 

বিজয় পুর ক্যাম্প থেকে অটোতে বা বাইকে সাদা মাটির পাহাড়ে যেতে পারেন। বিজয় পুর ক্যাম্প থেকে অটোতে বা বাইকে সাদা মাটির পাহাড়ে যেতে পারেন। 

কুল্লাগড়া  ইউনিয়নের আড়াপাড়া ও মাইজপাড়া মৌজায় বিজয়পুরের শসার পাড় এবং বহেরাতলী  গ্রামে সাদা মাটি অবস্থিত। এখান থেকে চীনা মাটি সংগ্রহের ফলে পাহাড়ের  গায়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট পুকুরের মতো গভীর জলাধার। পাহাড়ের গায়ে  স্বচ্ছ নীল রঙের জলাধার গুলো দেখতে অত্যন্ত চমৎকার।বাংলাদেশের মধ্যে  প্রকৃতির সম্পদ হিসেবে সাদা মাটির অন্যতম বৃহৎ খনিজ অঞ্চল এটি। ছোট বড়  টিলা-পাহাড় ও সমতল ভূমি জুড়ে প্রায় ১৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০০ মিটার  প্রস্থ এই খনিজ অঞ্চল। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ১৯৫৭ সালে  এই অঞ্চলে সাদামাটির পরিমাণ ধরা হয় ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন, যা  বাংলাদেশের ৩ শত বৎসরের চাহিদা পুরণ করতে পারে।চিনা মাটির প্রাচীন ইতিহাস  না জানা গেলেও ১৯৫৭ সাল থেকে এ মাটি উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। ১৯৬০ সালে  সর্বপ্রথম কোহিনুর এলুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই সাদামাটি  উত্তোলনের কাজ শুরু করে। পরে ১৯৭৩ সালে বিসিআইসি সাদামাটি উত্তোলনে যোগ  দেয়। বিভিন্ন রংয়ের মাটি, পানি ও  প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য মনকে বিমোহিত করে। সাদা, গোলাপী, হলুদ,  বেগুনি, খয়েরী, নীলাভ সহ বিভিন্ন রংয়ের মাটির পাহাড় চোখকে জুড়িয়ে  দেয়।(এই তথ্যটি সংগ্রহীত)কুল্লাগড়া  ইউনিয়নের আড়াপাড়া ও মাইজপাড়া মৌজায় বিজয়পুরের শসার পাড় এবং বহেরাতলী  গ্রামে সাদা মাটি অবস্থিত। এখান থেকে চীনা মাটি সংগ্রহের ফলে পাহাড়ের  গায়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট পুকুরের মতো গভীর জলাধার। পাহাড়ের গায়ে  স্বচ্ছ নীল রঙের জলাধার গুলো দেখতে অত্যন্ত চমৎকার।বাংলাদেশের মধ্যে  প্রকৃতির সম্পদ হিসেবে সাদা মাটির অন্যতম বৃহৎ খনিজ অঞ্চল এটি। ছোট বড়  টিলা-পাহাড় ও সমতল ভূমি জুড়ে প্রায় ১৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০০ মিটার  প্রস্থ এই খনিজ অঞ্চল। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ১৯৫৭ সালে  এই অঞ্চলে সাদামাটির পরিমাণ ধরা হয় ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন, যা  বাংলাদেশের ৩ শত বৎসরের চাহিদা পুরণ করতে পারে।চিনা মাটির প্রাচীন ইতিহাস  না জানা গেলেও ১৯৫৭ সাল থেকে এ মাটি উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। ১৯৬০ সালে  সর্বপ্রথম কোহিনুর এলুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই সাদামাটি  উত্তোলনের কাজ শুরু করে। পরে ১৯৭৩ সালে বিসিআইসি সাদামাটি উত্তোলনে যোগ  দেয়। বিভিন্ন রংয়ের মাটি, পানি ও  প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য মনকে বিমোহিত করে। সাদা, গোলাপী, হলুদ,  বেগুনি, খয়েরী, নীলাভ সহ বিভিন্ন রংয়ের মাটির পাহাড় চোখকে জুড়িয়ে  দেয়।(এই তথ্যটি সংগ্রহীত)

👉গারো পাহাড় এবং গারো পল্লী

সাদা মাটির পাহাড়ের পাশেই গারো পাহাড় বা গুচ্চ গ্রাম।
এই জায়গাটি আমার খুব ভালো লাগে এখানে গেলে গারোদের বিভিন্ন গোত্রের বসবাস, ওদের জীবন প্রনালী কেমন তা দেখতে পাবেন। ওখানে গারো  সম্প্রদায়ের লোকেরা যুগ যুগ ধরে নিজ নিজ কৃষ্টি-কালচার, সংস্কৃতি ও  ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা লালন করে সৌন্দর্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে  আসছে।